Monday, October 31, 2016

পরিকল্পনাকে নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া বলা হয় কেন?



প্রশ্নঃ পরিকল্পনাকে নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া বলা হয় কেন? - ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ পরিকল্পনার একটি অত্যাবশ্যকীয় গুণ নিরবচ্ছিন্নতা। প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি প্রশাসনিক কাজে পরিকল্পনা নিরবচ্ছিন্নভাবে চলতে থাকে। মূল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রত্যেক বিভাগ, উপবিভাগ কর্তৃক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রণিত হয়। সব সময় প্রতিষ্ঠানে পরিকল্পনা সক্রিয় থাকে। তাই পরিকল্পনাকে বিরামহীন ও নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া বলা হয়।

পরিকল্পনা অঙ্গন বলতে কী বুঝায়? - ব্যাখ্যা কর।



প্রশ্নঃ পরিকল্পনার আঙ্গিনা স্থাপন বলতে কী বুঝায়? - ব্যাখ্যা কর। বা,
পরিকল্পনা অঙ্গন বলতে কী বুঝায়? - ব্যাখ্যা কর। বা,
পরিকল্পনার পটভূমি বলতে কী বুঝায়? - ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ পরিকল্পনা অঙ্গন বলতে সে অবস্থাকে বুঝায় যে অবস্থার মধ্য দিয়ে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়। পরিকল্পনা ভবিষ্যৎমুখি বিধায় তা কাজ শুরুর পূর্বেই অনুমান করে ঠিক করা হয়। এই অনুমান যতই সঠিক হয় পরিকল্পনা বাস্তবায়নও ততো সহজ হয়। পরিকল্পনার মাধ্যমে কোন কাজ কখন, কীভাবে, কোথায়, কার দ্বারা করা হবে তা নির্ধারণ করা হয়। পরিকল্পনা অঙ্গন বা পটভূমি নির্ণয় পরিকল্পনা প্রণয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। সুতরাং বলা যায়, ভবিষ্যতে যে বৃহৎ পরিসরে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে তা সঠিকভাবে পূর্বানুমান করাই হল পরিকল্পনা অঙ্গন।

Tuesday, October 25, 2016

ব্যবস্থাপনা চক্র


প্রশ্নঃ ব্যবস্থাপনা চক্র বলতে কী বুঝায়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ পূর্ব নির্ধারিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য পরিকল্পনা, সংগঠন, কর্মীসংস্থান, নির্দেশনা, প্রেষণা, সমন্বয়সাধন ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কার্যাবলীকে ব্যবস্থাপনা বলে। ব্যবস্থাপনার কাজগুলো একটি আর একটির সাথে সম্পর্কিত এবং ধারাবাহিক ভাবে চক্রাকারে আবর্তিত হয়।  এভাবে চক্রাকারে আবর্তিত হওয়াকে ব্যবস্থাপনা চক্র বলে । ব্যবস্থাপনার কাজগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এর সর্বপ্রথম কাজ পরিকল্পনা। পরিকল্পনার ভিত্তিতে অন্যান্য কাজ যেমন সংগঠন প্রতিষ্ঠা কর্মীসংস্থান, নির্দেশনা, প্রেষণা, সমন্বয়সাধন ও সব শেষে নিয়ন্ত্রণ কাজ সম্পাদন করা হয়ে থাকে। নিয়ন্ত্রণ কাজের মধ্য দিয়ে  পরবর্তী যে নির্দেশনা পাওয়া যায় সে অনুযায়ী নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এভাবে প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনার কাজগুলো চলতেই থাকে।

ব্যবস্থাপনার সার্বজনীনতা ব্যাখ্যা।



প্রশ্ন: ব্যবস্থাপনার সার্বজনীনতা ব্যাখ্যা কর অথবা
ব্যবস্থাপনাকে সার্বজনীন বলা হয় কেনব্যাখ্যা কর
উত্তর: সার্বজনীন বলতে বুঝায় যা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থাপনার মৌলিক কার্যাবলী পরিরকল্পনা, সংগঠন, কর্মীসংস্থান, নির্দেশনা, প্রেষণা, সমন্বয়সাধন এবং নিয়ন্ত্রণ যে কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য অপরিহার্য তাছাড়া ব্যবস্থাপনার যে নীতি তত্ত্ব রয়েছে তাও সর্বক্ষেত্রে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য পরিবার থেকে শুরু করে শিল্প কারখানা, মসজিদ, মন্দির, গির্জা, স্কুল কলেজ বিশ^বিদ্যালয় সর্বক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য প্রয়োগের ক্ষেত্রে কিছুটা পার্থক্য দেখা গেলেও সর্বক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনার কাজগুলো একই দলবদ্ধ যে কোন কাজের জন্য ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন সব সমাজেই ব্যবস্থাপনার কজের ধরণ প্রকৃতি একই রকম তাই বলা হয়, ব্যবস্থাপনা সার্বজনীন    

Monday, October 24, 2016

ব্যবস্থাপনা হল অন্যকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার কৌশল। - ব্যাখ্যা কর।



প্রশ্নঃ ব্যবস্থাপনা হল অন্যকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার কৌশল। - ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ ব্যবস্থাপনা হচ্ছে অন্যকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার কৌশল। প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত উপায়-উপকরণাদির সঠিক ব্যবহার করে লক্ষ্যে পৌছানোই ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনে ব্যবস্থাপক যেমন মানুষ পরিচালনা করেন তেমনি তাকে যন্ত্রপাতি, কাচাঁমাল, অর্থ, বাজার ও পদ্ধতিরও যথাযথ ভাবে পরিচালনা করতে হয়। প্রতিষ্ঠানের বস্তুগত উপকরণাদির কার্যকর ব্যবহার মানবীয় উপাদানের উপর নির্ভরশীল। আর এ লক্ষ্যে ব্যবস্থাপককে সংগঠন প্রতিষ্ঠা করতে হয়, কর্মীসংস্থান, নির্দেশনা, প্রেষণা, সমন্বয়সাধন ও সব শেষে সুষ্ঠ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সঠিকভাবে কাজ আদায় করে নিতে হয়। তাই বলা যায়, ব্যবস্থাপনা হল অন্যকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার কৌশল।

Saturday, October 22, 2016

ব্যবস্থাপনা কি একটি পেশা


প্রশ্নঃ  ব্যবস্থাপনা কি একটি পেশা? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ কোন বিষয়ের উপর বৃত্তিমূলক জ্ঞান আহরণ ও দক্ষতা অর্জন করে তা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করে জীবিকা অর্জন করার প্রক্রিয়াকে পেশা বলে। পেশা হচ্ছে বিশেষ জ্ঞানের সমাবেশ যেখানে স্বীকৃত সনদপত্র থাকে। পেশাতে সনদধারী ব্যক্তিদের সংস্থা থাকে এবং পেশাগত বিভিন্ন আইন থাকে। পেশার এসব বৈশিষ্ট্যের মধ্যে কিছু  ব্যবস্থাপনার সাথে মিল রয়েছে এবং কিছু বৈশিষ্ট্যের রয়েছে অমিল। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য অবশ্যই বিশেষায়িত জ্ঞান দরকার। বর্তমানে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন ডিগ্রি রয়েছে। ব্যবস্থাপকীয় পরামর্শদাতার আবির্ভাবসহ ব্যবস্থাপকদের বিভিন্ন সংগঠনও রয়েছে। তবে ব্যবস্থাপনা এখনো ডাক্তারি কিংবা আইন পেশার মত পেশার মর্যাদা লাভ না করলেও দিন দিন পেশা হিসেবে এর গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। আশা করা যায়, খুব শীঘ্রই ব্যবস্থাপনা পেশার মর্যাদা লাভ করবে।

Sunday, October 16, 2016

ব্যবস্থাপনা বিজ্ঞান না কলা?



প্রশ্নঃব্যবস্থাপনা বিজ্ঞান না কলা?-ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ “ব্যবস্থাপনা বিজ্ঞান ও কলা উভয়ই‍।‍‍‍‌”
বিজ্ঞান হল সুনির্দিষ্ট বা সুসংবদ্ধ জ্ঞান যা বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত এবং যা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। অপরদিকে কলা সুসংবদ্ধ জ্ঞানের যথাযথ প্রয়োগের সাথে সম্পর্কিত। কলা কোন কাজ সম্পাদনের পদ্ধতি হিসেবে গণ্য। প্রাচীন কাল থেকে ব্যবস্থাপনাকে কলা হিসেবে গণ্য করা হলেও বর্তমান কালে ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন তত্ত্ব, ধারণা, মূলনীতি, পদ্ধতি ইত্যাদি সুসংবদ্ধ জ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। আর প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যার্জনের একজন ব্যবস্থাপক এসব তত্ত্ব, ধারণা, মূলনীতি, পদ্ধতির প্রয়োগ ঘটান। অর্থাৎ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সফলতা অর্জনের জন্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জ্ঞান ও এর প্রয়োগ দক্ষতা উভয়ই সমানভাবে গরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা বলতে পারি “ব্যবস্থাপনা বিজ্ঞান ও কলা উভয়ই‍।‍‍‍‌”